দুর্নীতিবাজরা শান্তিতে থাকতে পারবে না: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি করে কেউ যেন শান্তিতে থাকতে পারবে না এমন হুশিয়ারি দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সময় যত কঠিনই হোক দুর্নীতি ঘটলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি, খাদ্য গুদামের খাদ্য সামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি, কতিপয় ডিলার কর্তৃক খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎসহ এ জাতীয় অভিযোগে কমিশন কর্তৃক গৃহীত আইনি কার্যক্রমের (যেমন মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ইত্যাদি) সর্বশেষ অগ্রগতি আজ দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদকে বিস্তারিত অবহিত করা হলে চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।
দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারি ছুটি চলাকালে সরকারি ত্রাণ বিতরণে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা, বগুড়া, রংপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, শেরপুর, বরগুনা,নড়াইল, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আসামি গ্রেফতার হয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রমে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচরীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করায় দুদক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
আরও বলেন,সময় যত কঠিনই হোক না কেন দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। দুর্নীতির অভিযোগ জানানোর সকল চ্যানেল খোলা রয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম, দুদকের গোয়েন্দা তথ্যসহ সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিয়মিত বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। দুর্নীতি করে পার পাওয়ার সুযোগ কেউ পাবে না। প্রতিটি অভিযোগ বিচার-বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতি করে কেউ যেন শান্তিতে থাকতে না পারে, সে ব্যবস্থা কমিশন করবে। অতিলোভী ঘৃণ্য এসব অপরাধীদের আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই হবে।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে অফিস পরিচালনার বিষয়ে কমিশন কর্তৃক গঠিত ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রম বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই থার্মাল স্ক্রীন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহসহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তারপরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কমিশনের দুইজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দুদক চেয়ারম্যান তাদের মৃত্যুতে পুনরায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং যারা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্বসহ সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনেই অফিস পরিচালনা করতে হবে। ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল প্রকার যোগাযোগ সম্পন্ন করা হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, লকডাউনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রানসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় ১৯টি মামলা দায়ের করা হয় এবং এসব মামলায় অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/ডি