৬ হাসপাতাল ঘুরে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেলেন রোগী
অ্যাম্বুলেন্সে রোগী তুলে একটি দুটি নয়, সিলেটের ছয়টি হাসপাতাল ঘুরেছেন স্বজনরা। টানা ৩ ঘণ্টা হাসপাতাল ও ক্লিনিকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আকুতি জানিয়েছেন চিকিৎসার জন্য।
কিন্তু করোনা সন্দেহে ভর্তি নেননি কেউ। অবশেষে চিকিৎসা না পেয়েই অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেলেন মনোয়ারা বেগম (৬৩) নামে এক রোগী।
মৃত মনোয়ারা বেগম সিলেট নগরীর কাজিরবাজার মোগলীটুলা এলাকার (বাসা এ/৫) লেচু মিয়ার স্ত্রী।
সোমবার রাতে রোগীর স্বজন সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সিলেট নগরীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রহমান রিপন জানান, ওই নারী অ্যাজমার শ্বাসকষ্টের রোগী। মৃত নারীর প্রবাসী ছেলে রুহুল তার বন্ধু।
রোববার রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসী বন্ধু রুহুল তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। রাত ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে ওই রোগীকে নিয়ে একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কোনো হাসপাতালই তাকে ভর্তি করাতে রাজি হয়নি। তবে মা ও শিশু হাসপাতাল অক্সিজেন দিয়ে সহযোগিতা করে।
তিনি বলেন, সাধারণ শ্বাসকষ্টের রোগীকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ করায় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
মানবিক কারণে সব হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
স্বজনরা জানান, রোববার রাত ১২টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে মনোয়ারাকে নগরীর ছয়টি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আকুতি-মিনতি করেও কোনো হাসপাতাল তাকে ভর্তি করেনি। অবশেষে রাত পৌনে ২টায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া বলেন, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। চিকিৎসায় কোনোভাবেই অনীহা দেখানো ঠিক নয়। মনোয়ারার মৃত্যুর ব্যাপারে অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেন তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি