বিড়ি মালিকরা শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছে: প্রজ্ঞা
জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিড়ি মালিক ও সুবিধাভোগী শ্রমিক নেতারা মিথ্যাচার করছে এমন দাবি করেন তামাকবিরোধী সংগঠন (প্রগতির জন্য জ্ঞান) প্রজ্ঞা।
প্রজ্ঞা বলছে, কারখানা মালিকদের দাবি বাংলাদেশে বিড়ি শ্রমিকের সংখ্যা ২০ লাখ। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানায় এর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯১৬ জন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রজ্ঞার এ তথ্য উপস্থাপন করে। এসময় সংগঠনটি বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে।
সংগঠনটি বলছে, বিড়ি কারখানার মালিকরা দাবি তোলেন বিড়ির কর বাড়ানো হলে দেশের বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এবং দেশে ২০ থেকে ৩০ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। বিড়ি শ্রমিকদের সংখ্যা নিয়ে যে তথ্য তারা বছরের পর বছর দিয়ে থাকেন, তা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এদিক এনবিআর ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘দি রেভিনিউ অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট আউটকাম অব বিড়ি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে বিড়ি শিল্পে কর্মরত নিয়মিত, অনিয়মিত এবং চুক্তিভিক্তিক মিলিয়ে পূর্ণসময় কাজ করার সমতুল্য শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ৪৬ হাজার ৯১৬ জন।
তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞার সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- বিড়ির সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা এবং অর্জিত বাড়তি রাজস্ব দিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা; বিড়ির ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক/এক্সাইজ ট্যাক্স এর একটি অংশ সুনির্দিষ্ট কর আকারে আরোপ করা; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং এনবিআরের যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে যেসব জেলায় বিড়ি কারখানা রয়েছে সেখানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিকল্প কর্মসংস্থান অনুসন্ধান করা ইত্যাদি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস