News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ২৪ মে ২০২০
আপডেট: ১৭:৩৩, ২৪ মে ২০২০

একদিনে সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৩২ জন

একদিনে সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৩২ জন

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার আড়াই মাসের মাথায় একদিনে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

ঈদের আগের দিন সর্বোচ্চ এই মৃত্যুর খবর এলো।

একদিনে ২৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮০ জন।

রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৩২ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৩ হাজার ৬১০ জন।

সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন। সব মিলয়ে এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৯০১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

তিনি ৪৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ১৮৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আট হাজার ৯০৯টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৩টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৫৩২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৬১০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৮ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৮০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪১৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ৯০১ জনে।

গত শনিবারের (২২ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন মারা গেছেন। ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৮৭৩ জনের দেহে। যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ২৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় গত ২২ মের বুলেটিনে।

বুলেটিনে বলা হয়, করোনা রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২৫৩ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৪৪৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৪ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৬৩ জন।

সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ১৪টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন হাজার ৬৩ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৯জ নকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ আট হাজার ৩৪৬জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৫ হাজার ১৫৩ জন।

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

বুলেটিনে বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়