বাঁশেরকেল্লাসহ ৫০ ফেসবুক পেজের এডমিন আটক
ঢাকা: ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্রচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ও জামায়াত সমর্থিত ফেসবুক পেজ বাঁশেরকেল্লাসহ ৫০টি ফেসবুক পেজের এডমিন কে এম জিয়া উদ্দিন ফাহাদকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপিলটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গতকাল কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এসময় ফাহাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি নোকিয়া মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় বলে দাবি করেছে ডিবি।
ফাহাদকে আটকের বিষয়টি জানাতে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিবি।
এতে ডিবির প্রধান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফাহাদ এসব আইডি দিয়ে বিচার বিভাগ, পুলিশ, লেখক এবং সাহিত্যিকদের বিদ্রূপকর ব্যঙ্গচিত্র ও হত্যার হুমকি প্রদান করে থাকে। তাকে জামায়াত-শিবিরের আইটি বিষয়ক সমন্বয়ক করা হয়। ফাহাদ বাঁশখালির এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ছেলে। তার বোনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
ডিবি প্রধান আরো বলেন, ‘দুটি ছদ্মনামে অর্থাৎ বিপ্লব দহন ও ট্রুথ ফাইন্ডার নামে পেজগুলো চালাতো ফাহাদ।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফাহাদ বাঁশেরকেল্লা (মেইন বাঁশেরকেল্লা), তিতুমীরের বাঁশেরকেল্লা, আওয়ামী ট্রাইব্যুনাল, বাকশাল নিপাত যাক, আই অ্যাম বাংলাদেশি, ডিজিটাল রূপে বাকশাল, বিএএন বাঁশখালী নিউজ-২৪, ইসলামী অনলাইন এক্টিভিস্ট, তরুণ প্রজন্ম, বাঁশেরকেল্লা ইউএসএ, ভিশন ২০২১, ইত্যাদি অর্ধশতাধিক ফেসবুক পেজের এডিটরিয়াল অ্যাডমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাহাদ জানায়, সে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্রচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে বর্তমানে নিয়োজিত এবং সে নিজ নামে ও ছদ্মনামে অর্ধশতাধিক ফেসবুক আইডি ও ই-মেইল আইডি খুলে বাঁশেরকেল্লা এবং বাঁশেরকেল্লা ইউএসএ ফেসবুক পেজের এডিটরিয়াল অ্যাডমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ ছাড়াও ট্রুথ ফাইটার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে আরো অর্ধশতাধিক পেজ পরিচালনা করে।’
এসব ফেসবুক আইডি ও ই-মেইল আইডি ব্যবহার করে ফাহাদ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ভিভিআইপি, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পুলিশ, সেনা বাহিনী, বডার গার্ড বাংলাদেশ ও র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য গ্রাফিকসহ অন্যান্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে তার উপরে ডিজাইন করে পোস্ট করতেন বলে দাবি করেছে ডিবি।
মনিরুল ইসলাম আরো দাবি করেন, তার এ পোস্টসমূহ ছাত্র শিবিরের প্রচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য সহযোগীদের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করতেন। ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতি সহানুভূতি তৈরি এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে এ প্রচারণা চালাতেন বলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনএইচ/এফএ
নিউজবাংলাদেশ.কম