News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ১৪ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:১৮, ১৭ মে ২০২০

লেখক ও সাংবাদিক ফকরে আলমের মৃত্যু

লেখক ও সাংবাদিক ফকরে আলমের মৃত্যু

লেখক ও সাংবাদিক ফকরে আলম আর নেই।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চাঁচড়া ডালমিলে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ফখরে আলম দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।
তার স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসা থেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন আধাঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
ফখরে আলমের মরদেহ এখন তার যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিলের বাসভবনে রয়েছে। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহকর্মীরা যাচ্ছেন সেখানে।
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর একপর্যায়ে ফখরে আলম চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারান। তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফখরে আলম দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এর আগে তিনি ১৯৮৫ সালে সাপ্তাহিক রোববারের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি আজকের কাগজ, মানবজমিন, জনকণ্ঠ, আমাদের সময়, যায়যায়দিন, ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকায় কাজ করেন।
সাংবাদিকতা জীবনে তিনি মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বজলুর রহমান স্মৃতি পদক, এফপিএবি পুরস্কার, মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার, এফইজেবি পুরস্কার, টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারসহ নানা পদক, পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
কবি হিসেবেও তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। একসময় যশোর সাহিত্য পরিষদেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
কবিতা, সাংবাদিকতা, মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতি বিষয়ে ফখরে আলম ৩৪টি বই লিখেছেন। তার মধ্যে ‘রিপোর্টারের ডায়েরি’, ‘হাতের মুঠোয় সাংবাদিকতা’, ‘ডাকে প্রেম তুষার চুম্বন’, ‘যশোরের গণহত্যা’, ‘তুই কনেরে পাতাসী’, ‘খুলে ফেলি নক্ষত্রের ছিপি’, ‘এ আমায় কনে নিয়ে আলি’, ‘অন্ধকার চুর্ণ করি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
১৯৬১ সালের ২১ জুন জন্ম নেওয়া ফখরে আলম বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়েসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। যশোর শহরতলীর চাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা তার বাবা মরহুম শামসুল হুদা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাদআছর যশোর জিলা স্কুল মাঠে মরহুমের জানাজা হবে। পরে তাকে চাঁচড়ার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রেসক্লাব যশোরে আনা হবে ফখরে আলমের মরদেহ। ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানিয়েছেন, সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কিছু সময় রাখা হবে মরদেহ। আগ্রহী ব্যক্তি ও সংগঠনকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুরোধ করেছেন প্রেসক্লাব সেক্রেটারি আহসান কবীর।
শোক ও কর্মসূচি: ফখরে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে প্রেসক্লাব যশোর। এক বিবৃতিতে প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সম্পাদক আহসান কবীর শোকসন্তপ্ত পরিবার-সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়