স্বাস্থ্যবিধি না মানায় টাঙ্গাইলে শপিংমল ও বিপনি বিতান বন্ধ
টানা দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সরকারী নির্দেশ মেনে গেল রোববার খোলা হয় টাঙ্গাইলের শপিংমল ও বিপনি বিতানগুলো। ওইদিন সকাল থেকেই মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে নানা বয়সী শ্রেণী পেশার মানুষ। জেলার বিভিন্ন বিপনি বিতানগুলোতে দেখা যায় মানুষের জনস্রোত। মানা হয়না স্বাস্থ্যবিধি। যার ফলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে সচেতন মহল। বিষয়টি নজরে আসে টাঙ্গাইল জেলে প্রশাসনের।
ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সকল ধরনের মার্কেট ও বিপনি বিতান। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক মো শহীদুল ইসলাম জানান, গত রোববার থেকে মার্কেট ও বিপনি বিতানগুলো খোলার পর কোন ধরনের সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। করোনা সংক্রমন দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি চিন্তা করে আজ বুধবার থেকে সকল ধরনের মার্কেট ও শপিল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ওষুধ ও কাঁচামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।
উলেখ্য, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২২ মার্চ দেশের সব দোকান মালিকদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৫ মার্চ থেকে সব দোকান-শপিংমল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরবর্তীতে গত ৪ মে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ১০ মে থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা যাবে। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনে শপিং মল ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলে জানানো হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেএইচ