ছুটি বাড়ছে ৩০ মে পর্যন্ত, ঈদে নিয়ন্ত্রিত হবে যান চলাচল
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পুরান ঢাকার এক গলির মুখে ঝুলছে সতর্ক বার্তা। ছবি: ইউএনবি
দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান সাধারণ ছুটি আবারও বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল হলেও ঈদের সময় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ছুটি বৃদ্ধি করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলে বিশ্বের আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে, যাকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘লকডাউন’ হিসেবে।
এরপর সেই ছুটির মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।
তবে এর মধ্যে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হয়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুই ঘণ্টা বেড়েছে, বিপণি বিতানগুলো খুলেছে, খুলেছে মসজিদ, পোশাক কারখানা ইত্যাদি।
এতে সড়কে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদের সময় চলাচল বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, “ঈদের আগের চারদিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দুইদিন- এই সাতদিন সব ধরনের যানবাহন চলাচলে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। এই সাতদিন প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।”
যে যেখানে অবস্থান করছেন, এবার সেখানেই তাকে ঈদ করতে হবে,” বলেন তিনি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৫ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস