News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:২০, ৭ মে ২০২০
আপডেট: ০৪:২৪, ১৩ মে ২০২০

নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে অসহায়দের পাশে দাঁড়াবেন চবি ছাত্র

নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে অসহায়দের পাশে দাঁড়াবেন চবি ছাত্র

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। সারাদেশে চলছে লকডাউন। অসহায় হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। অসহায় মানুষদের প্রাত্যহিক জীবিকা অর্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবতের জীবন যাপন করছেন অনেকে। আর তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী।
নিজের পছন্দের তোলা সাতটি ছবি বিক্রি করে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। প্রতি ছবির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৫০০ টাকা। ইতোমধ্যে তিনি ম্যাজিক্যাল লাইট ফাউন্ডেশন, সিংগাপুরের সহযোগিতায় ১৫৩ পরিবারকেও ত্রাণ উপহার দিয়েছেন।
এছাড়া,করোনার এই দুর্যোগে ম্যাজিক্যাল লাইট ফাউন্ডেশন, সিংগাপুর ইতোমধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারের কাছে খাদ্য উপহার পৌঁছে দিয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বেড়ে ওঠা ধর্মরাজ তঞ্চগ্যা। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। ছবি তুলতে খুব ভালোবাসেন তিনি। দেশি-বিদেশি অনেকগুলো এক্সিবিশন করেছেন। ‘ফাইন্ডিং বুড্ডিজম ইন বাংলাদেশ‘ ফটোগ্রাফি কন্টেস্টে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ফটো ফেস্ট এশিয়ায় ছবি এক্সিবিশনে প্রদর্শিত হয়েছে। এছাড়া গত বছর ‘প্রাণ রুচি’ আয়োজিত ট্রাভেল ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় তার একটি ছবি এক্সিভিশনে জায়গা করে নেন।
পাশাপাশি তিনি গান করেন, গান লিখেন গানের সুরকারও নিজেই। তিনি একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার কাছে পরিচিত। তিনি প্রায় ২৫টি নাটকে অভিনয় করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া চবি পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন রঁদেভু শিল্পীগোষ্ঠীর একজন প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ধর্মরাজ জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বনফুলের জন্য জুম্ম তরুণের ভালোবাসা’ নামে একটা ইভেন্ট খোলা হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জুম্ম শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। পাহাড়ের তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকায় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।
“সেই উদ্যোগে কীভাবে নিজেকে জড়ানো যায়- মূলত সেই চিন্তা থেকে আমার এই পরিকল্পনা মাথায় আসে। আমার তোলা অনেক ছবির মাঝে যেগুলো বিক্রয়যোগ্য মনে হয়েছে বা দেখতে বেশ সুন্দর।” যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “তার মধ্যে শুরুতে আমি সাতটি ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রির জন্য স্ট্যাটাস দিই। সেখানে বেশ সাড়া পড়েছে। প্রতি ছবির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০০ টাকা। এই সাতটি ছবি বিক্রি হলে আরও ছবি নিলামে তুলবো। যতদিন পারি গান করে, নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে হলেও পাহাড়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবো। বিক্রীত ছবির ১৫০০ টাকা যাবে পাহাড়ের অসহায় পরিবারের কাছে। ৫০০ টাকা ফ্রেম করে কুরিয়ারের জন্য আর ৫০০ টাকা নিজের এলাকা রাজস্থলীতে কাজে লাগাবো।”
তিনি আরও বলেন, “রাজস্থলীতে ভলেন্টিয়ার অব রাজস্থলী নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন করছি। স্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মিলে রাজস্থলীর দুর্গম এলাকার লোকজনের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১৫৩ পরিবারকে ত্রাণ উপহার দিয়েছি। আগামী শুক্রবার (৮ মে) ২০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থিক সহযোগিতা করেছেন ম্যাজিক্যাল লাইট ফাউন্ডেশন, সিঙ্গাপুর।”
ধর্মরাজের ছবি যেভাবে পাওয়া যাবে:
০১৮২২২২৪০৩৯ ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর এবং বিকাশ/নগদ/রকেট একাউন্ট
email: valleyraj5@gmail.com
ছবির সাইজ: 12L Matte (No frame)
No Watermark
আপাতত ডিজিটাল কপি ইমেইল-এর মাধ্যমে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্রেম করে ক্রেতাদের ঠিকানা বরাবর পাঠানো হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়