দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার, লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল শহরতলীর শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত একটি দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন। পরে বানরটিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে লাউয়াছড়ার জানকিছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী কামরুল হাসান দোলনের তথ্য ও সহযোগিতায় রোববার গভীর রাতে আহত অবস্থায় লজ্জাবতী এ বানরটি উদ্ধার করে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিম। সংগঠনের সিনিয়র সদস্য রূপক দত্ত লজ্জাবতী বানরটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক পরিচর্যা করেন।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি হৃদয় দেবনাথ বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে একটি লজ্জাবতী বানর শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সামনে পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে আমাদের সংগঠনের সিনিয়র সদস্য রুপক দত্তকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বানরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। আমরা প্রাথমিক পরিচর্যা শেষে সকালে শ্রীমঙ্গল প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে বানরটির চিকিৎসা করিয়েছি। সুস্থ হওয়ার পর দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী এই বানরটিকে লাউয়াছড়ার জানকিছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে।”
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোনায়েম হোসেন বলেন, “লজ্জাবতী বানর নিশাচর এবং উঁচু বৃক্ষে বাস করে। এরা সাধারণত একা বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। গাছের ডালে এরা ধীরগতিতে চলাচল করে। ইংরেজিতে বেঙ্গল স্লো লোরিস (Bengal slow loris) বলে পরিচিত।”
তিনি আরও বলেন, “কৃষি কাজের জন্য পাহাড়-টিলার বনজঙ্গল কেটে পরিস্কার করা হচ্ছে বলে আবাসস্থল হারিয়ে লজ্জাবতী বানরগুলো ইদানিং লোকালয়ে চলে আসে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন আহত বানরটিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে লাউয়াছড়ার জানকিছড়ায় অবমুক্ত করেছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ