জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে শ্রমিক নেতাসহ গুলিবিদ্ধ ২
ফাইল ফটো
যশোরে পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মিন্টু গাজীসহ (৫০) দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মিন্টু গাজীর পেটে গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। আহত অন্য ব্যক্তির নাম ইমদাদুল (৫৫) তিনিও একই সংগঠনের কর্মী।
সোমবার (৪ মে) বিকালে যশোর শহরের বকচর হুঁশতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি তাদের ওপর গুলি ছোড়ে।
গুরুতর আহত মিন্টু গাজী বকচর হুঁশতলা এলাকার হামিদ গাজীর ছেলে। তিনি পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক। অপর আহত ইমদাদুলও একই সংগঠনের সদস্য।
পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর-২২৭) সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স না আসায় মিন্টু গাজীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরে খুলনায় গাজী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যতটুকু খবর পেয়েছি তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে।
আহত ইমদাদুলের ভাই বদরুল আলম জানান, বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ইমদাদুল ও মিন্টু গাজী ইফতারি কেনার জন্য হেঁটে হুঁশতলা মোড়ে যাচ্ছিলেন। কপোতাক্ষ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের পাশে ওঁত পেতে থাকা বিল্লাল ওরফে চোরা বিল্লাল নামে এক দুর্বৃত্ত এসময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি ইমদাদুলের হাতে আঘাত করে মিন্টুর পেটে বিদ্ধ হয়।
তিনি আরও জানান, মিন্টু গাজী, ইমদাদুল, বকচর এলাকার বিল্লাল, লাল্টু, সাইফুল, লিটন প্রতিদিন হুঁশতলা কবরস্থানের পাশে একটি বাগানে জুয়া খেলেন। এই জুয়া খেলা নিয়ে তিন-চার দিন আগে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। এরই জের ধরে বিল্লাল ওই দুই জনকে গুলি করে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক মুক্তামণি জানান, মিন্টুর পেটে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে আহত ইমদাদুল আশঙ্কামুক্ত।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, দোষী ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে। কারা, কী কারণে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি