মংলায় ভবন ধস
৭ মৃতদেহ, ৪৭ জীবিত উদ্ধার
খুলনা: বাগেরহাটের মংলা উপজেলায় সেনা কল্যাণ সংস্থার এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির নির্মাণাধীন ভবন ধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃতদেহ ও ৪৭ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- মাহাফুজ হাওলাদার, আমির আকন্দি ও আল-আমিন। তাদের বাড়ি রামপাল উপজেলায় বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে বাগেরহাটের মংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় সেনাকল্যাণ সংস্থার সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ৩ নম্বর বল রুমের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ভবনের ভেতরে চাপা পড়ে অংসখ্য শ্রমিক।
সূত্র জানায়, ফ্যাক্টরির ৫তলা ভবনের ৩ তলা নির্মাণাধীন অবস্থায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়ে। খবর পেয়ে মংলা নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এ পর্যন্ত ভবনের ভেতর থেকে ৭ জনের মৃতদেহ এবং ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত জীবিতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
ভবন ধসের পরপরই এই ফ্যাক্টরির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। ভবন ধসের খবর মৃহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে নিহত ও আহত শ্রমিকদের স্বজনেরা ফ্যাক্টরির সামনে এসে আহাজারি করতে থাকে।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহ আলম সরদার ঘটনাস্থল থেকে জানান, “এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া নিহত ৫নির্মাণ শ্রমিকের লাশ মংলা বন্দর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।”
ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও শতাধিক শ্রমিক রয়েছে বলে দাবি করেছেন আহত শ্রমিক ও স্থানীয়রা। আরো বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তারা।
উদ্ধার অভিযান শেষ হতে কতো সময় লাগবে, তা তারা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ১০নভেম্বর এ ভবটির কাজ শুরু হয়। সিএনবিএম ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এ ভবনের কাজ করছিল। ২০১৫ সালের ১০নভেম্বর ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা। ভবনটির ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ২কোটি ৮৮লাখ ৭৫হাজার টাকা ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম