News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১২ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২৩:২৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

সরকার নির্ধারিত মূল্য পায় না কৃষক

সরকার নির্ধারিত মূল্য পায় না কৃষক

দিনাজপুর, প্রতিনিধি: দেশের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম দিনাজপুরের ধান উৎপাদনকারী কৃষকের মুখে হাসি নেই। প্রতি বছরের মতো এবারো সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ধান-চালের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত এ মূল্য তাদের ঘরে উঠবে না, এ আশঙ্কায় রয়েছে কৃষকেরা।

নিউজবাংলাদেশকে তারা জানায়, সরকার নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়ন হয় না। এমূল্যে লাভবান হয় মধ্যস্বত্বভোগীরা। উল্লেখ্য, দেশের খাদ্যচাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ জেলা। প্রতি বছর এ জেলা থেকে বিপুল পরিমান চাল দেশের নানা জেলার চাহিদা মেটায়।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এ জেলা থেকে ২৫ হাজার মে.টন চাল বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। আর এ ধান উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা কৃষকেরই। তাই তারা যেন তাদের উৎপাদিত ধানের সঠিক দাম পায় এ বিবেচনা করে সরকার ৩ বছর ধরে ধান ঘরে তোলার আগেই অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে নির্ধারিত মূল্যে বোরো সংগ্রহ অভিযান শুরু করে।

এ বছরে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২২ এবং প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। মৌসুমের শুরুতেই সরকারি এ ঘোষণা এলেও খুশি নয় দিনাজপুরের কৃষকেরা। কেননা নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী সরকার চাল কেনার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তা কৃষকের ঘরে ওঠে না। এ থেকে লাভবান হয় মধ্যস্বত্বভোগীরা।

দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা এলাকার কৃষক দুলালচন্দ্র নিউজবাংলাদেশকে জানান, আমন ধানের চেয়ে বোরো ধানের উৎপাদন খরচ বেশি। এছাড়া এবার তেল-সারের দামও বেশি। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও পোকামাকড়ের আক্রমণ। সবমিলিয়ে ধানের সঠিক উৎপাদন নিয়েও শঙ্কায় আছেন তারা।

কৃষকেরা জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্য তারা পায় না। সরকার যদি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতো তবে নির্ধারিত মূল্যে তাদের লাভ হতো। ধান ঘরে তোলার শুরুতেই সরকার ধান কেনে না। আর তাই খরচের টাকা জোগাড় করতে আগেভাগেই কৃষককে ধান বেচে দিতে হয়। সরকারের এ ক্রয়মূল্যে ব্যবসায়ীরা ও মিলমালিকরা লাভের টাকা তাদের ঘরে তোলে।

এদিকে জেলার বিভিন্ন সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে যাতে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পায়। জেলা কৃষিপণ্যের জনমূল্য কমিশনের সদস্য সচিব যাদবচন্দ্র রায় নিউজবাংলাদেশকে জানান, এবার বোরো ধানে কৃষকদের যে ব্যয় হয়েছে তা তারা পুষিয়ে উঠতে পারবে না। সরকারের নির্ধারিত মূল্য যাতে কৃষকদের হাতে পৌঁছায় এজন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল হান্নান নিউজবাংলাদেশকে জানান, এবারে দিনাজপুর জেলায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৩৮ মেট্রিক টন চাল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়