ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬, ভাঙচুর
মিরসরাই, প্রতিনিধি: উপজেলার নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সাহেরখালী ভোরের বাজার, দমদমা বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগের (একাংশের) আহবায়ক আব্দুল আউয়াল তুহিনের কারামুক্তিতে র্যালিতে আসাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা গেছে, এ সংর্ঘষ সৃষ্টি হয় গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাহেরখালী ভোরের বাজারে মন্ত্রীসমর্থিত কর্মীরা চায়ের দোকানদার খোকাকে কুপিয়ে আহত করে।
এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, ওই দোকানে গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা আড্ডা দিত। এরই খেসারত দিতে হলো চা-দোকানি খোকাকে। অন্যদিকে গিয়াসের সমর্থকরা বিপক্ষ গ্রুপের রিঙ্কুর ওষুধের দোকান ভাঙচুর করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দা, কিরিচ, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিজামপুর কলেজের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রকাশ্য মহাসড়কে মহড়া দিতে দেখা গেছে। আশপাশে পুলিশ থাকলেও এসময় তাদের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের মতো।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাইনুর ইসলাম রানা নিউজবাংলাদেশকে জানান, স্থানীয় অছাত্রদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গিয়াস উদ্দিন সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মিল্টন নিউজবাংলাদেশকে জানান, মন্ত্রীসমর্থকরা সাহেরখালীতে তাদের গ্রুপের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের ৫-৬ জন কর্মী আহত হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জিকু দেব নিউজবাংলাদেশকে বলেন, মন্ত্রী সমর্থিত ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায় দমদমা বাজারে আজগর, মিঠুন এবং সাহেরখালীতে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আসিফ আহত হয়েছে।
নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওসার নিউজবাংলাদেশকে জানান, নিজামপুরে ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তবে সাহেরখালীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম