বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা গাইবান্ধায়
গাইবান্ধা: শস্য-শ্যামলা সবুজ বাংলার কৃষি ভাণ্ডার হিসাবে খ্যাত গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে চাষাবাদকৃত ধানের ক্ষেত এখন গাঢ় সবুজে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি দিগন্ত জুড়ে নজর কাড়ছে বোরো ফসলের ক্ষেত। কৃষকরা ইতোমধ্যে ক্ষেত পরিচর্যা শেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় সার-কীটনাশক দেয়া শেষ করেছেন।
কৃষক জহির উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও মোসলেম উদ্দিন জানান, আবহাওয়া অনুকূল বা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় সেচ সুবিধার আওতায় এক লাখ ৪৯ হাজার একশ ৬৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ৪৮ হাজার সাতশ ৪৫টি গভীর, অগভীর ও লো-লিফট পাম্পের মাধ্যমে এ সেচ কার্যক্রম পরিচালিত। এর মধ্যে ডিজেল চালিত ৮১টি এবং বিদ্যুৎ চালিত পাঁচশ ৩৬টি গভীর নলকুপের মাধ্যমে নয় হাজার ৫০১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া ৪০ হাজার সাতশ ৯৪টি ডিজেল চালিত এবং সাত হাজার ২১৮টি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর নলকুপের মাধ্যমে এক লাখ ৩৮ হাজার তিনশ ৪০ হেক্টর জমিতে এবং একশটি ডিজেল চালিত এবং ১৬টি বিদ্যুৎ চালিত লো-লিফট পাম্পের মাধ্যমে নদী-নালা-খাল-বিলের পানি থেকে জল সেচ দিয়ে ১ হাজার তিনশ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রায় পাঁচ হাজার দেশীয় ডোঙ্গা, হোচা ও দোন দিয়ে প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত পানি সেচ দিয়ে সাতশ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে। এবছর এ জেলায় বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লক্ষ ২৪ হাজার একশ ৭৯ মে. টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, নদী-নালা-খাল-বিল আগাম শুকিয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক উৎস নির্ভর লো-লিফট পাম্পের আওতায় এবং দেশীয় প্রযুক্তি দ্বারা সেচ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম