সোনালী ব্যাংকের ডিজিএমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন
ঢাকা: ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করে ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ টাকা আত্মসাত করায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক দুই ডিজিএমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে পৃথক এ দুটি মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা দুটি দায়ের করা হবে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য নিউজবাংলাদেশকে জানিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ কর্পোরেট শাখার সাবেক ডিজিএম চৌধুরী আবদুল হান্নান, সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আহমেদ মিজি, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নূরুজ্জামান, মেসার্স সিয়াম নীট ওয়্যারের স্বত্বাধিকারী মো. হাবিবুর রহমান ও মেসার্স তাহা নীট কনসার্ন খন্দকার হারুন অর রশিদ।
সোনালী ব্যাংকের ৭২টি ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত করায় দুদক দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পৃথক দু’টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদক সূত্র জানা যায়, ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেসার্স সিয়াম নীট ওয়্যার ৪৪টি ব্যাংক টু ব্যাংক এলসির বিপরীতে ২৫ কোটি পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯ টাকা ঋণ গ্রহণ করে অপরিশোধিত ২১ কোটি ৩৮ লাখ ছয় হাজার ৬৫৪ টাকা আত্মসাত করে।
দুদকের অনুসন্ধানেও বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. হাবিবুর রহমান, সোনালী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ কর্পোরেট শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নূরুজ্জামান ও সাবেক ডিজিএম চৌধুরী আবদুল হান্নানের বিরুদ্ধে একটি মামলা অনুমোদন দেয় কমিশন।
একই সময়ে মেসার্স তাহা নীট কনসার্ন ২৮টি ব্যাংক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের একই শাখা থেকে ৭ কোটি ৯২ হাজার ৮১২ টাকা ঋণ গ্রহণ করে। কিন্তু ঋণ গ্রহণ করলেও তা পরিশোধ না করে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫৪ হাজার ৪৯৩ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম