মরিচের বাম্পার ফলন তবু আশংকায় কৃষক
বগুড়া: বগুড়ায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা দারুণ খুশি। কিন্তু টানা হরতাল-অবরোধের কারণে তারা ন্যায্য মূল্য পাবে কিনা তা নিয়ে কৃষকদের হাসিমুখে পড়েছে আশংকার ছায়া। তবে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন পাকা মরিচ পচনশীল না হওয়ায় এবং প্রক্রিয়াজাত করার সুযোগ থাকায় হরতাল-অবরোধেও এর দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃষক জামাল নিউজবাংলাদেশকে জানালেন, এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে সার ও বীজের সরবরাহ থাকায় উৎপাদন খরচও কম হয়েছে।
বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাতালগুলো এখন লাল রং ধারণ করছে। প্রতিটি চাতালে শুকানো হচ্ছে লাল মরিচ। উৎপাদন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা মরিচ শুকাতে ব্যস্ত। মরিচ শুকানোর এ কাজে যোগ হয়েছে মৌসুমী শ্রমিকও। এর ফলে জেলার কয়েক হাজার নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, শেরপুর এলাকার নদী বিধৌত চরাঞ্চলগুলোতে চাষ হয় মরিচ। উৎপাদিত মরিচ কৃষকের কাছ থেকে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। এরপর প্রক্রিয়াজাত করে মরিচ পাঠানো হয় সারা দেশে।
বগুড়ায় এবার ৮ হাজার ৩ শ’ ৮৫ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে অনেক বেশি জমিতে। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৩০ মন। প্রতি বিঘায় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭২ হাজার টাকায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ মরিচ বিক্রি করছেন দেশের প্রতিষ্ঠিত মসলা কোম্পানীগুলোর কাছে।
উৎপাদন অনেক বেশি হলেও মরিচের বাজার ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। সূত্র জানায়, সরকারের কৃষিঋণ, সার ও বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবার বগুড়া অঞ্চলে মরিচের ফলনকে ত্বরান্নিত করেছে। সেই সাথে অব্যাহত হরতাল অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত সব্জী চাষীরা মরিচ আবাদের মাধ্যমে কিছুটা হলেও তাদের লোকসান কাটিয়ে উঠবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/আইএল/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম