স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিজেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে!
মিরসরাই, প্রতিনিধি: বারইয়ারহাট পৌর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। কিন্তু বর্তমানে ওই কেন্দ্রে এলে তারা সুস্থ হবার বদলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেননা কেন্দ্রটি নিজেই রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এর পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর।
এ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দার কথা বিবেচনা করে ১৯৮৪ সালের ১২ জুলাই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়। বারইয়ারহাট পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলে এ কেন্দ্রটি পৌরসভার আওতায় নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত একজন ডাক্তার থাকেন। রয়েছেন একজন পরিদর্শকও।
আরো জানা গেছে, প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে। অথচ এসে তারা দেখতে পায় কেন্দ্রের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এ স্তূপ থেকে চারপাশে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এ অবস্থায় আগত রোগীদের নাকে রুমালচাপা দিতে হয়।
মেয়র তাহের আহম্মদ একদিন এসে কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে গেছেন। সেসময় তিনি এ আবর্জনা সরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও তা প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ পড়ে আছে। ময়লা-আর্বজনা কেন্দ্রের দেয়ালে এসে ঠেকেছে।
কড়া দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষ নাকচেপে কোনো রকমে পেরিয়ে যাচ্ছে জায়গাটা। এ স্তূপ থেকে ছড়িয়ে পড়ছে হাঁপানি ও ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন বায়ুবাহিত রোগ। পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে মারাত্মকভাবে।
জানা গেছে, আগে একেন্দ্রে প্রতিদিন দুশোরও বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসত। এখন আসে শতাধিক রোগী। একেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পক্ষেও দুর্গন্ধের কারণে সেখানে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেন না।
চিকিৎসা নিতে আসা হিঙ্গুলী ইউপির আজমনগর গ্রামের সাহেদা আক্তার নিউজবাংলাদেশকে জানান, বাধ্য হয়েই এখানেই এসেছি। দুর্গন্ধের কারণে এখানে আসতে ইচ্ছে করে না।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাজমুল নাহার নিউজবাংলাদেশকে জানান, ময়লা-আবর্জনার গন্ধে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা দেয়া দায় হয়ে পড়েছে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার আগে একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
তিনি আরো জানান, এর পরপরই মেয়র এসে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
বারইয়ারহাট পৌর মেয়র তাহের আহম্মদ নিউজবাংলাদেশকে জানান, আগে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি কেউ চিনতো না। তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্র সড়কের সামনে একটি গেইট নির্মাণ করেন। আর তাড়াতাড়িই এ আবর্জনা সরানোর ব্যবস্থাও তিনি করবেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম