রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটকশূন্য মহামায়া লেক
মিরসরাই (চট্টগ্রাম): দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনোদন কেন্দ্র চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক। নয়াভিরাম এ লেকটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারা দেশ থেকে বটেই, বিদেশী পর্যটকদেরও ভিড় করতে দেখা যায়। কিন্তু এ লেকটির চারদিকে এখন কোনো মুখরতা নেই, কেবলই শূন্যতা আর হাহাকার। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে লেকটি। ফলে লেকটির ইজারাগ্রহিতা প্রতিষ্ঠানটিও পড়েছে লোকসানের মুখে।
মহামায়া প্রকল্প এরই মধ্যে দেশের মানুষের কাছে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা মহামায়ার রূপ উপভোগ করার জন্য আসেন। প্রতিদিনই পরিবার-পরিজন নিয়ে মহামায়ায় আসেন দর্শনার্থীরা।
প্রথম অবস্থায় সরকার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদীঘি এলাকায় অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার জন্য মহামায়া প্রকল্প গ্রহণ করেন। ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। মহামায়া এলাকায় জমিতে পানি সেচের জন্য একটি বিশাল বাঁধ দেয়া হয়। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে মহামায়ার সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক। লেকের পাশে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য যে কোনো মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।
সরকার অক্টোবর মাসে আহসান ট্রেডার্স নামে একটি কোম্পানিকে তিন বছরের জন্য মহামায়া ইজারা দেয়। চুক্তি অনুযায়ী ইজারাগ্রহিতা প্রতিষ্ঠানটি সরকারকে প্রতি বছর প্রায় ২১ লাখ টাকা পরিশোধ করবে। ইজারা নেয়ার পর থেকে সব কিছু ঠিকমতোই চলছিল। অন্যান্য সময় পর্যটক কম হলেও ইজারাগ্রহিতা শীত মৌসুমের জন্য মুখিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। কেউ আর এই লেকমুখী হচ্ছে না। ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ-হরতাল এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মহামায়া এখন পর্যটনশূন্য হয়ে পড়েছে।
ইজারাগ্রহিতা আবু সুফিয়ান বিপ্লব নিউজবাংলাদেশকে জানান, ইজারা নেয়ার পর থেকে মহামায়া প্রকল্পের প্রবেশপথে একটি গেট নির্মাণ করা হয়। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ৬ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়। প্রতিজন কর্মীকে মাসে ৯ হাজার টাকা বেতন দিতে হয়। মহামায়ায় প্রবেশমূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটক সংখ্যা এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/আইআর/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম