News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:২৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আপডেট: ০৯:২২, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সম্পর্ক ঝালাই করতে আসছেন মমতা

সম্পর্ক ঝালাই করতে আসছেন মমতা

নিউজবাংলাদেশ.কম রিপোর্ট

শেষ মুহূর্তে এসে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই না হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বে ছেদ পড়েছিল। আবেগ আর উষ্ণতার পুরোনো সম্পর্ক ঝালাই করতেই তিন দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার রাতে মমতা ঢাকায় আসছেন।

মমতার এ সফরকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির নেতারা মনে করছেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়ার সব দোষ সে সময় ক্ষমতাসীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার মমতার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। তিস্তা চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করার আগে তখনকার ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন এ নিয়ে মমতার সঙ্গে কথা বলেন।

কিন্তু ওই আলোচনা আর চুক্তির খসড়ায় অনেক ফারাক থেকে যায় বলে দাবি তৃণমূলের। সব তথ্য আগে জানানো হয়নি মমতাকে। ফলে শেষ মুহূর্তে তিনি সরে আসতে বাধ্য হন।

আর বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নেও মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধিতা করেছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশিদের কাছে ভাবমূর্তির সংকট তৈরি হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি, কংগ্রেসের অদূরদর্শিতায় বলি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল।

তৃণমূল নেতাদের দাবি, তিস্তা চুক্তি হোক সেটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান। তবে চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কিংবা ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ-কারও যাতে ক্ষতি না হয়, বরং দুই পক্ষের স্বার্থ সুরক্ষা হয়; সেটিই তিনি চেয়েছিলেন। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় মমতা এই বার্তাই পৌঁছে দেবেন।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তির মতো দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যা দ্রুত সুরাহার কথা বলে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তিনি কাঠমান্ডুতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মোদি ঢাকা সফরের আগে মমতাকে ঢাকায় পাঠানোর আভাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন।

২০১৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করতে মনোযোগী হন। সরে আসেন স্থলসীমান্ত চুক্তির বিরোধিতার অবস্থান থেকেও। একই চুক্তির বিরোধী ছিল বিজেপিও।

কিন্তু ক্ষমতায় এসে বিজেপি তার অবস্থান বদল করে। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এ চুক্তি বাস্তবায়নের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন। এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেপি ও তৃণমূলের অবস্থান এক হওয়াটা মমতার ঢাকা সফরের পথকে সুগম করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সফরের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এসব আলোচনার সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে মমতাকে কোনো চাপ দেওয়া হবে না।

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়