News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:১৭, ৭ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৪:২০, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না

৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না

ঢাকা : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ চলছে। সমাবেশকে ঘিরে সমাবেশস্থলের চারপাশে শো-ডাউন করছে দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলো। বিশেষ করে সমাবেশস্থলে আসন্ন ডিসিসি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থকদের হাতে প্রার্থীর শুভেচ্ছা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড শোভা পাচ্ছে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘‘এ দেশের নিরাশ্রয় ও খেটে খাওয়া মানুষের আশ্রয়স্থল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সোহরাওয়াদী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘেষাণা দিয়েছিলেন। ৪০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু আহবান ছিল, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই মাঠেই শিখা চিরন্তনের স্থানে পাকিস্তানি পরাশক্তি আত্মসমর্পণ করেছিল। এরপর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে এগিয়ে নেয়ার শপথ নিয়েছিলেন। তারপর তার সুযোগ্য কন্যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য হাল ধরেছেন। আমরা আজকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি। বছরের প্রথম দিন আমরা বই দিচ্ছি। সেনা বাহিনীতে মেয়েরা ভর্তি হবার সুযোগ পাচ্ছে। নারী অধিকার কত প্রকার ও কী প্রধানমন্ত্রী তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশ আজকে খাদ্য রপ্তানি করতে পারছে। আমাদের আইটি খাত বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হচ্ছে।”

খালেদাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘ওদিকে পাকসখী আইএসের এজেন্ট হয়ে বাংলাদেশকে শেষ করতে চাইছে। এই পৃথিবী মানুষের জন্য দানবের জন্য নয়। তাই দানবের বিচার হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো দেশকে স্বাধীন করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ তেমনি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে আমরা জনগণকে মুক্ত করে ছাড়বো।”

সমাবেশে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র জয় আগামী দিনের নেতা। তাকে অপহরনের জন্য তারেক লোক লাগিয়েছে। এজন্য ধরাও খাইছে।”

তিনি আরো বলেন, “যারা ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করতে দেয় না তাদের সঙ্গে কী আপনারা ডায়ালগ করবেন? যদি না করেন তাহলে আওয়ামী লীগও লাদেনের উত্তরসূরীদের সঙ্গে আলোচনা করবে না। তেলে-জলে কখনো এক হয় না, হতে পারে না।”

বেগম জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,‘‘দুই মাস আন্দোলনের নামে নাশকতা করেও কোনো লাভ হয় নাই দেখে আপনারা আমার বাসার সামনে বোমা মারছেন।”

৭ মার্চের বক্তৃতা সংবিধানের একটি অংশ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না’।


নিউজবাংলাদেশ.কম/এসআই/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়