News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ৩ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০১:৪৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নিখোঁজের ২ মাস পর নওহাটা পৌর মেয়রের লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের ২ মাস পর নওহাটা পৌর মেয়রের লাশ উদ্ধার

রাজশাহী ব্যুরো: নিখোঁজের দুই মাস পর আসামীর স্বীকারোক্তিতে রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল গফুরের লাশ ঢাকার আজিমপুর কবরস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে; লাশটি বিকৃত হয়ে যাওয়ায় এটা আসলেই তার লাশ কি না- তা নিশ্চিত করতে বুধবার ডিএনএ পরীক্ষা করাবে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ‍"কথিত ডা. মীমের সঙ্গে আবদুল গফুরের অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।"

গত ১ জানুয়ারি মেয়র আবদুল গফুর ঢাকা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর তিনি তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলেন। কিন্তু; তার পরিবারের সাথে ৪ জানুয়ারির পর আর কোন যোগাযোগ হয়নি।

এরপর গত ১৯ জানুয়ারি মেয়রের ফোন নম্বর থেকে একটি এসএমএস আসে। তাতে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। এ ঘটনায় তার পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে ওই দিন বিকেলে তার স্ত্রী ফজিলাতুন নেসা পারুল পবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তার স্ত্রীর দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ ওই মামলায় নওগাঁর সালমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক কথিত ডা. জান্নাতুল সালমা মীম ও তার দুই বোনকে আটক করেছে।

পবা থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, ‍"দুই বছর আগে নওহাটায় ছায়ানীড় নামে মীমের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছিলো। তখন থেকে গফুরের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা। তবে; শেষের দিকে তার সঙ্গে গফুরের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না।"

মামলার সূত্র ধরে, কথিত চিকিৎসক জান্নাতুন সালমা মীমকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মীমের দু`বোন জান্নাতুল নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকেও পুলিশ আটক করেছে।

গত শুক্রবার তাদের চার দিনের রিমান্ডে এনে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্য়ায়ে গফুরের লাশ ঢাকায় আছে বলে স্বীকারোক্তি দেয় মীম। পরে মীমকে সাথে নিয়ে পবা থানা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার আজিমপুর কবরস্থান থেকে গফুরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, "জিজ্ঞাসাবাদে মীম পুলিশকে জানিয়েছে, মেয়র গফুরকে গত ৮ জানুয়ারি হত্যা করা হয়েছে। তবে আজিমপুর কবরস্থানের রেজিস্ট্রি খাতায় মেয়র গফুরের মৃত্যু ৩ জানুয়ারি ও দাফন ৬ জানুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, "গফুরের লাশ আসামী সনাক্ত করেছে। তবে লাশটি গলে যাওয়ায় এখন চেনার উপায় নেই। বুধবার ময়না তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তারপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে লাশটি আসলেই আবদুল গফুরের কি না!

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়