কেউ ছুটছিল জীবন বাঁচাতে, কেউ করছিল ছিনতাই
নারায়ণগঞ্জ: জেলার বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান উৎসবে পদদলিত হয়ে সাতজন মহিলাসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিজ ভেঙে পড়ার গুজবে পুণ্যার্থীরা জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি করতে গিয়ে এ মর্মান্তিক ঘটনার অবতারণা হয়। পুণ্যার্থীরা যখন ছুটোছুটি করছিলেন ঠিক তখনি একটি চক্র টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি পদপিষ্ট হয়ে মরে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকেও টাকা-মোবাইল হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
শুক্রবার সকালের এ মর্মান্তিক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা হলেন- পটুয়াখালীর সুচিত্রা, নোয়াখালীর ভানুমতি, কুমিল্লার রণজিৎ, কানন বালা, ও তুলসি দাস, গোপালগঞ্জের নকুল, ঢাকা জেলার রাখি ও ভগবতী দাস (বউ-শাশুড়ি) মানিকগঞ্জের নিত্য গোপাল দাস ও মালতি দাস (মা-ছেলে)।
নিত্য গোপাল দাসের মেয়ে পূজা দাসও পদতলে পিষ্ট হয়। আর তার স্ত্রী রুপালী পদতলে পিষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন তার কাছে টাকা ও মোবাইল ফোনটিও খোয়া যায়।
ঘটনার পর রুপালী দাসের উদ্ধারকারী নূরজাহান জানান, সকালে ঘটনার পর রুপালী দাসকে বেইলি ব্রিজের উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তার কোনো স্বজন কারেছ না থাকায় নূরজাহান তাকে নিয়ে সেবা করে জ্ঞান ফেরান।
নূরজাহান আরো জানান, ঘটনার পর কেউ রুপালীর সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। রুপালী দাসের মতো এমন অনেকের টাকা ও মোবাইল ফোন খোয়া গেছে।
তীর্থস্থানে আসা অনেকেই টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার সময় পুণ্যার্থীদের ফেলে যাওয়া সেন্ডেল, জামা কাপড়ের ব্যাগ সরিয়ে এক জায়গায় স্তুপ করে রাখা হলেও পরে সেখানে কোনো মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।
নিউজবাংলাদেশ/এফএ
নিউজবাংলাদেশ.কম