রাজশাহীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
রাজশাহী: মহানগরির বাঘায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দু’দফায় উপজেলা চত্বরের সামনে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও যুবলীগ নেতা তসিকুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ দু’জন হলেন শামীম ও রতন। এছাড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন সাইফুল, শাহিন, নান্নু ও ফরহাদসহ আরও দু’জন। আহতদের বাঘা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস জানান, বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সমর্থক আমির হোসেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে ঈশ্বরদী থেকে বাঘা ফিরছিলেন। তিনি উপজেলা চত্বরের সামনে এলে যুবলীগ নেতা তসিকুল ইসলাম ও তাঁর লোকজন আমির হোসেনের গতিরোধ করে। তারা ২০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। আমির হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তসিকুল ইসলামের লোকজন তাকে মারধর করে। ঘটনাটি জানতে পেরে আব্দুল কুদ্দুসের আরেক সমর্থক লাল চাঁন ঘটনাস্থলে যান আমির হোসনকে বাঁচাতে। কিন্তু তসিকুলের লোকজন তাকেও মারধর করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে আব্দুল কুদ্দুসের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হয়।
রাজশাহীর বাঘা থানার ওসি আমিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। উপজেলা চত্বর থেকে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম