৯০ দশকের ডাকাত সর্দার হারেজ আলী গ্রেফতার
ঝিনাইদহ: ডাকাত সর্দার হিসেবে ৯০ দশকে হারেজ আলী একনামে পরিচিত ছিল জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। সে সময় এলাকাবাসীর কাছে এ নামটি ছিল রীতিমতো ত্রাস। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার এসআই এমদাদ হোসেন, এএসআই মাহাবুবুর রহমান ও সুজন হোসেনের যৌথ অভিযানে হারেজ আলীকে সারুটিয়া ইউনিয়নের ব্রক্ষপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ভঙংচুর-লুটপাট ও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ হাসেম খান নিউজবাংলাদেশকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সারুটিয়া ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হারেজ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত হারেজ আলীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৯০ দশকের দুর্ধর্ষ ডাকাত ও বহু অপকর্মের হোতা সারুটিয়া ইউনিয়নের হায়েনা গ্রুপ হিসেবে খ্যাত ডাকাত সর্দার হারেজ আলী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে জাসদ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তকমা গায়ে এঁটে এখন সে আওয়ামী লীগের তকমা এঁটেছে।
৯০ দশকে চাঁদাবাজি আর ডাকাতিই ছিল তার মূল পেশা। ১৯৮১ সালে ব্যবসায়ী আবেদ আলীকে হত্যা করে তার স্ত্রী সালেহাকে বিয়ে করে। এরপর সে আন্তঃজেলা পর্যায়ে ডাকাত দল গড়ে তোলে। ৯০ দশকে সে বিএনপির রাজনীতিতে নাম লেখায়।
৯৬ সালের পর কিছুদিন গাঢাকা দিয়ে থাকলেও ২০০১ সালে আবার প্রকাশ্যে চলে আসে। বিএনপির তকমা গায়ে এঁটে সে চাঁদাবাজি, হাট-বাজার দখল ও শালিস-ব্যবসায় নামে।
১/১১ সরকারের মাধ্যমে প্রশাসন সক্রিয় হলে হারেজ আলি টুপি-জোব্বা পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম