News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৭ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৯:৩৮, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

লাঙ্গলবন্দে পদদলিত হয়ে নিহত ১০

লাঙ্গলবন্দে পদদলিত হয়ে নিহত ১০

নারায়ণগঞ্জ: জেলার বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে অষ্টমী পুণ্যস্নানোৎসবে পদদলিত হয়ে সাত নারীসহ ১০ পুণ্যার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত পুণ্যার্থী।

শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্নানোৎসব উদযাপন কমিটি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ মর্মান্তিক ঘটনার পেছেনে স্নান উদযাপন কমিটির অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের অবহেলাকেই দায়ি করেছেন পুণ্যার্থীরা।

নিহতদের প্রায় সবার বয়স ৫০ বছরের বেশি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআই-২, ডিএসবি) আক্তার মোর্শেদ।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সকালে পুণ্যস্নানের পদযাত্রায় প্রচণ্ড ভিড় হয়। তখন পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের পাশাপাশি রাজঘাট ও প্রেমতলা ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সুচিত্রা রানী (৭০), ভানুমতি (৫০), রাহী (২৮), কানন সাহা (৫০), মালতী (৬০), তুলসী দেবনাথ (৫০), ভগবতী (৪০), রঞ্জিত চন্দ্র (৫৫), মাদারীপুরের চরমুগরিয়া কলেজের শিক্ষক নকুল চন্দ্র বিশ্বাস (৫৫) ও নিতাই (৫০)।

আহত ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কয়েকজন পুণ্যার্থী অভিযোগ করেন, হাজারো পুণ্যার্থীর ভিড় সামলাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন না। স্নানের সময় ছিল না শৃঙ্খলা রক্ষা করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া বলেন, “শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে মহাষ্টমী স্নান শুরু হওয়ার পর ভিড়ে পদদলিত হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।”

এ ঘটনার পর থেকে পুণ্যার্থীদের নদী তীরে আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুণ্যার্থীদের স্নানের জন্য ১৬টি ঘাট তৈরি করা হয়। ১৬ ঘাটের অন্যতম প্রধান হলো রাজঘাট। পুণ্যার্থীদের বিশ্বাস, এই ঘাটে স্নান করলে পুণ্য বেশি হয়। তাই রাজঘাটে ভিড় ছিল বেশি। আর ওখানেই পায়ের তলায় পড়ে ১০ জন মারা গেছেন।

তবে স্নান উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব চক্রবর্তী দাবি করে বলেন, আমাদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল না। ঘাটের রাস্তা ও কালভার্ট সরু হওয়ায় অত্যাধিক ভিড়ে ঠেলা ধাক্কা শুরু হয়। এরপরই এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঘটনার পরে প্রত্যেকটি ঘাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে পুণ্যার্থীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া শোক জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তারা পৃথক শোক বার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফই/এজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়