News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ১ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০৮:২৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অভিজিৎ রায়ের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে দান

অভিজিৎ রায়ের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে দান

বিজ্ঞান লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের মরদেহ তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজে দান করা হয়েছে। এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সর্বস্তরের মানুষ অভিজিৎ রায়ের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় রবিবার দুপুর ১টা ৭ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এ্যানাটমি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামীম আরার কাছে ছেলের মরদেহ হস্তান্তর করেন। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল খান উপস্থিত ছিলেন।

অজয় রায় এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেন, অভিজিৎ অনেক আগেই মৃত্যুর পর মরদেহ মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য দান করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রবিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে ছাত্র, লেখক, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অভিজিৎ রায়ের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন।

অভিজিৎ রায়ের কফিনে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সদরুল আমিন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর তার মরদেহ মগবাজারে অজয় রায়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুর একটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরআগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে সকালে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে অভিজিৎ রায়ের মরদেহ প্রথমে বুয়েটে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসির কাছে ফুটপাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী রাফিদা আফরিন বন্যাও গুরুতর আহত হন। ঘটনার সময় তারা বই মেলা থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান অভিজিৎ। গুরুতর আহত বন্যা চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশ থেকে রক্তমাখা দুটি চাপাতি ও একটি স্কুলব্যাগ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ ড. অজয় রায় শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ এসজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়