‘গবেষণা দিয়ে হবে না, রাজনৈতিকভাবে চেষ্টা করতে হবে’
ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক যে প্রভাব পড়েছে তা শুধু গবেষণা দিয়ে সমাধান করা যাবে না। রাজনৈতিকভাবে এর সমাধান করতে হবে। একথা বলেছেন পিকেএসএফ- এর চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জামান আহমেদ।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাইঞ্জে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের অধিকার : জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খলীকুজ্জামান এসময় আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এরই ফলে মানুষ বাধ্য হচ্ছে বাসস্থান বদলে ফেলতে। এ অবস্থা মোকাবিলায় সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যাপার রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশি ও আন্তর্জাতিক ব্যাপারও রয়েছে।
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে শুধু আন্তর্জাতিকভাবে সভা-সেমিনার করলে হবে না। এর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যাপারও থাকতে হবে। গত পাঁচ বছরে তা ছিল। এখনও তা আছে কীনা আমি জানি না।
সেমিনারে নিলউর্মির ২০০৮ সালের গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, যে কোনো দুর্যোগের পরপরই বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে ঢাকাতে বস্তিবাসীর সংখ্যা বাড়ে। দেশীয় প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্থানান্তর ও অভিবাসনের কারণ হিসেবে ৪টি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়।
এগুলো হলো, দ্রুত গতিতে সংগঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেমন, ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস, হঠাৎ বন্যা ও নদীভাঙন এবং এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। এছাড়া ধীর গতিতে সংগঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে। যেমন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, খরা, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদিজনিত ক্ষয়ক্ষতি।
সেমিনারে বক্তারা আরো জানান, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কৌশলপত্র এবং কর্মপরিকল্পনা ২০০৯ প্রণয়ন করেছে। সেখানে সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা সম্ভব না হলে উপকূলীয় এলাকার প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে।
বক্তারা জানান, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করতে হলে অভ্যন্তরীণ বাস্তচ্যুতি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে উদারহণ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাবি জোরালো হবে।
ইক্যুইটিবিডি ও কোস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্যবস্থাপক-ক্যাম্পেইন এন্ড অ্যাডভোকেসি-অক্সফামের মনিসা বিশ্বাসসহ অনেকে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিএ/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম