আম্পায়ার ছিল ‘ভারতীয় সৈনিক’
রাজবাড়ী: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ এর ২য় কোয়াটার ফাইনালে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ম্যাচে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে বাংলাদেশকে। এর প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাবেশে বক্তারা আম্পায়ারকে ‘ভারতীয় সৈনিক’ বলে মন্তব্য করেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় রাজবাড়ী সরকারি কলেজ মীর মশাররফ হোসেন হলের উদ্দ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে এসে ১নং রেলগেট সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
সমাবেশ শেষে আম্পায়ারদের কুশপুতুলে জুতা মারা শেষে দাহ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজ মীর মশাররফ হোসেন হলের বর্ডার রুবেলুর রহমান, মো. রাকিব ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর হলের বর্ডার বিনয় কুমার মিত্র, মীর মশাররফ হোসেন হলের মো. শিমুল, রতন মোল্লা, অব্দুল কাহার, ইব্রাহিম মোল্লা, আশরাফুর রহমান অবির, শেখ তুহিন আহম্মেদ সবুজ, উজ্জ্বল হোসেন, ফিরোজ হোসেন, রানা, মো. রিয়াদ, পারভেজ, আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এ হারকে তারা মেনে নিতে পারছে না। ভুল সিদ্ধান্ত কি শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে হয় নাকি ছোট রাষ্ট্র বলে। গতকালের ম্যাচে টিভি ও মাঠের আম্পায়ার ছিল ভারত রক্ষাকারী সৈনিক।
তারা বলেন, বাংলাদেশ দলের এবারের বিশ্বকাপে যে ধারাবাহিকতা তাতে ৩০৩ রানে জেতা সম্ভব ছিল। এ হারের বিষয়টি পুরো রহস্যজনক। একটি আউট হলে রিপ্লে দেখানো হয় অনেকবার কিন্তু গতকাল রিপ্লে না দেখিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন আম্পায়াররা। এতেই প্রমাণীত হয় ভারতপ্রীতি। তারা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসির কাছে অনুরোধ করেন এ বিষটি খতিয়ে দেখার জন্য। তারা এর ম্যাচের সঙ্গে জড়িত টিভি ও মাঠের আম্পায়ারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষিদ্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ
নিউজবাংলাদেশ.কম