অপহরণের দেড় বছর পর শিশুর কঙ্কাল উদ্ধার
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুরের এক বাসা থেকে ভূঞাপুরে অপহরণের দেড় বছর পর এক শিশুর হাড়গোড় উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
হতাভাগ্য ওই শিশুটির নাম মাসুদ রানা শয়ন (৮)। সে ভূঞাপুর উপজেলার রুহুলী গ্রামের মৃত রাইসুল ইসলাম সাগরের ছেলে। শয়ন উপজেলার মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
অপহরণের দেড় বছর পর ওই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি জাহাঙ্গীরের (শয়নের সৎ বাবা) তথ্যের ভিত্তিতে এই হাড়গোড় উদ্ধারের অভিযান চলে।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের এসআই রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে মধুপুর পৌর এলাকার টেংরি গোরস্থানপাড়ার সেনা সদস্য শাহ আলমের বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে শয়নের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
এসআই রাশেদুল হাসান জানান, শয়নের বাবার মৃত্যুর পর তার মা মামলার আসামি জাহাঙ্গীর (৩৮) কে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। স্ত্রীর আগের ঘরের সম্পদ প্রাপ্তির একমাত্র বাধা সরিয়ে ফেলার জন্য ওই পক্ষের শয়নকে অপহরণ করে। মোবাইল ফোনে তার নানার বাড়িতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
শর্ত অনুযায়ী, দুলাখ টাকা দেওয়ার পরও শয়নকে না পেয়ে তার নানী মাজেদা বেগম বাদি হয়ে ভূঞাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৮ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
মামলার দুমাস পর ডিবি পুলিশ মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে মুক্তিপণের ১লাখ ৪৮ হাজার টাকা, মোবাইল ফোনসহ জাহাঙ্গীরকে আটক করে। পরে জাহাঙ্গীর জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকে।
অন্য একটি মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে বুধবার সকালে ভূঞাপুর থেকে পুনরায় ডিবি আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রীর প্রথম ঘরের সন্তান শয়নকে হত্যা এবং মধুপুরের ভাড়া বাসায় অবস্থান করার সময় লাশ পুতে রাখার কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যানুসারে, ডিবি পুলিশ মধুপুরের ওই বাসা থেকে শয়নের হাড়গোড় উদ্ধার করে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম