তিন সিটির নির্বাচন
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রচারণা বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল তিন সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ তফসিল ঘোষণা করা হয়।
তফসিলে বলা হয়েছে, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ। ১ ও ২ এপ্রিল বাছাই এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেন, “নির্বাচনের সম্ভাব্য যেসব প্রার্থীরা বিলবোর্ড ও অন্যান্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো। নির্দিষ্ট সময়ে আচরণবিধি মেনে সব প্রার্থীরা প্রচারণা চালাবেন। ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধও করতে হবে।”
নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কা নেই জানিয়ে সিইসি বলেন, “আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। সহিংসতার আশঙ্কা নেই বলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছে। তারপরও চোরাগুপ্তা হামলার বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। আবারও তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রার্থী ও ভোটারদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।”
সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কাজী রকিব বলেন, “সেনা মোতায়েনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ সিদ্ধান্ত পরে নেবো। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, “দলের সাপোর্ট থাকতেই পারে। এটা আমরা আগেও দেখেছি। এটা থাকবেই। তবে আচরণবিধি সঠিকভাবে পালন করলে আর কোনো সমস্যা নেই।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অবরোধ হরতাল রাজনৈতিক কর্মসূচি। এখানে আমাদের হাত নেই। নিরাপত্তার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছি। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের ধরে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি। যাতে নির্বাচনে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এটা নির্দলীয় নির্বাচন। সবার সমর্থন প্রয়োজন। স্বতস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচন করতে দিন।”
এ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না বলেও জানান কাজী রকিব। তিনি বলেন, “আগে কয়েকটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি। রাজশাহীসহ অন্যান্য স্থানে কারিগরী ত্রুটি পাওয়া গেছে। সে ত্রুটি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ইভিএমে ভোট নেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এ নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ, ঢাকা উত্তরে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহ আলম ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আব্দুল বাতেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম