সহিংসতা সত্ত্বেও দেশ দ্রুত উন্নয়নশীলদের মধ্যে ১ নম্বর
ঢাকা: “তিন জন মানুষ নাই তারপরও হরতাল, দশটা রাস্তায় মিছিল নাই, তারপরও পেট্রল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। দেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য এই সহিংসতা। তবু বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের উন্নয়নশীল পাঁচ দেশের মধ্যে এক নম্বর দেশ।”
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স হলে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও আমাদের অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একে আজাদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আমার তো কাঁদতে ইচ্ছে করে। এই দেশে স্যাটেলাইট স্টেশন স্থাপন করা হবে, নিউক্লিয়ার পাওয়ার হাউজ করা হবে, পদ্মা সেতু করা হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে শিখেয়েছেন। অথচ কিছু দুস্কৃতকারীর কুচক্রে তিনি নিহত হন।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বাস ঘাতকরা আজও আছে। দেশের অগ্রগতিকে থমিয়ে দিতে দেশে আজ সহিংসতা চালানো হচ্ছে। দেশে হরতাল অবরোধ করে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ মারা হচ্ছে। ভাগ্য ভালো আজ বঙ্গবন্ধু নেই, থাকলে তার লোকেদের পেট্রল বোমা মেরে পুড়িয়ে মারা হবে এটা তিনি সহ্য করতে পারতেন না।”
কারা পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে মানুষ মারে তা জানেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা বলে কারা মানুষ হ্ত্যা করছে, কারা ককটেল বোমা মারছে, পেট্রল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, তা আমরা জানি না। তাদের বলতে চাই, ২০০১ সালে মুসলমানদেরকে জবাই করেছে, কিবরিয়াকে হত্যা করেছে, আহসানউল্লা মাস্টারকে হত্যা করেছে কারা সবই আমরা জানি।”
তিনি বলেন, “কিছু কুচক্রী সহিংসতার রাজনীতি করে। তাদের প্রতিহত করে বাংলাদেশকে একটি শান্তিময় রাষ্ট্র বানাবো তবেই বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।”
অন্যান্য বক্তা বলেন, “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছে।”
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড.আবুল কাশেম মজুমদার প্রমুখ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিএ/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম