সচেতন হলেই নারী প্রতিনিধিত্বের বিকাশ ঘটবে
ঢাকা: ‘নারীরা রাজনীতি সচেতন হলেই তাদের প্রতিনিধিত্বের সুষ্ঠু বিকাশ ঘটবে। নারীদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্পও নেই। টেকসই উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশে নারী নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
কমনওয়েলথ উইমেন মেশিনারিজের (এনডব্লিউএম) বার্ষিক পরামর্শ সভায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
সোমবার নিউইয়র্কের ইউএন ওয়ান হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্পিকার বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উন্নয়ন এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারী নেতৃত্ব মূল্যবান অবদান রাখবে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে নারীদের জন্য অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রয়াস থাকতে হবে, যাতে নারীরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নিজেদের সমৃদ্ধ করে আগামী দিনে জাতীয় সংসদসহ সব ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব বজায় রাখতে পারে এবং নারী ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিয়ে নিজেদের নেতৃত্বের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারে।’
‘রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে’ মন্তব্য করে ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘রাজনীতিতে সকলের সমান সুযোগ গণতন্ত্রের মূলবাণী। রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। রাজনীতিতে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের সকল বাধা দূর করতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্বে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেল। আগামী দিনে বিশ্বরাজনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাসহ সকল জাতীয় আন্তর্জাতিক ফোরামে নারীদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘২০১৫ পরবর্তী নতুন উন্নয়ন এজেন্ডার সামগ্রিক লক্ষ্য হওয়া উচিত দারিদ্র্য দুরীকরণ। কিন্তু সেখানে মানবকল্যাণের বিষয়টির ওপর জোর দিতে হবে। জীবন যাত্রার গুনগত মান উন্নয়নের মাধ্যমেই সেটি অর্জন করতে হবে। নারীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের মাধ্যমে নারীকে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে ক্ষমতায়িত করতে হবে। তাহলেই মানবকল্যাণ নিশ্চিত হবে। কেন না সমাজের এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বাদ রেখে কোনো মানবকল্যাণ হতে পারে না।’
ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় নারী নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানান স্পিকার।
অনুষ্ঠানে উগান্ডা পার্লামেন্টের স্পিকার রেবেকা কাডাগা, নাইজেরিয়ার মহিলা ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রী হাজিয়া জইনব মাইনা, কমনওয়েলথের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. জোসেফাইন ওজিয়াম্বো বক্তব্য দেন। এসময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবুল মোমেনও উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এফএ
নিউজবাংলাদেশ.কম