News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৭:০৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

চিকিৎসকদের অবহেলায় সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুর অভিযোগ

চিকিৎসকদের অবহেলায় সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুর অভিযোগ

ঢাকা: স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলায় তথ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মারা গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তথ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার স্বামী  কাজী আহসান উল হাসিব এ অভিযোগ করেন।

কাজী আহসান উল হাসিব আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকদের অবহেলায় সরকারি কর্মকর্তা মারা যাওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল তানিয়া-হাসিব দম্পতির এক মাস বয়সী ছেলে কাজী আরিব আহনাফ ও ছয় বছর বয়সী ছেলে কাজী রায়েদ আরিয়ান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্কয়ার হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে তানিয়া সুলতানার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তিনি স্কয়ার হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ নাসিমা শাহীনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় তিনি খালেদ মহসিনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একদিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখেই তানিয়াকে কেবিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেবিনে কোনো ‘কার্ডিয়াক মনিটর’ ছিল না। রোগী ও তাঁর স্বজন বারবার চিকিৎসক খালেদ মহসিনকে শ্বাসকষ্টের কথা জানালেও চিকিৎসক কর্ণপাত করেননি। ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে চারটার দিকে তানিয়া মারা যান। মৃত্যুর আগে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, তানিয়ার মৃত্যুসনদে লেখা হয়েছে, তিনি হৃদ্‌যন্ত্রের মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সন্তান জন্মের আগে কখনো তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে কোনো সমস্যা আছে বলে চিকিৎসকেরা তানিয়ার পরিবারকে জানাননি।

কাজী আহসান উল হাসিব স্ত্রীর মৃত্যুর পর খালেদ মহসিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। এ ছাড়া সপ্তাহ খানেক আগে হাসপাতালের চিকিৎসাবিষয়ক পরিচালক সানোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানালেও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসাবিষয়ক পরিচালক সানোয়ার হোসেন সপ্তাহ খানেক পর এ বিষয়ে কিছু জানানো সম্ভব হবে বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তানিয়ার স্বামী প্রশ্নের জবাবে বলেন, ছেলের জন্ম ও স্ত্রীর চিকিৎসায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

তানিয়া ১৯৯৪ সালে ঢাকা বোর্ডে স্ট্যান্ড করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তানিয়ার বাবা আমানুল্লাহসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন চিকিৎসা পেশায় আছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়