টিকেট থাকার পরও বিদেশ যাওয়া হলো না ফজলুলের
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ সৌদিতে চাকরি করেন ফজলুল হক (৪৫)। এর মাঝে কয়েকবার বাংলাদেশে ছুটি কাটিয়ে, আবার কর্মস্থলে ফিরে গেছেন তিনি। গত নভেম্বরে পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে দেশে এসেছিলেন ফজলুল হক। আগামী ২৪ ডিসেম্বর আবার বিমানে উঠার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আর বিদেশ যাওয়া হলো না। বৃহস্পতিবার শ্বশুর বাড়িতে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বৈদ্যুতিক মোটর থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিদেশ চলে যাওয়ার ১২ দিন আগে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় তার পরিবারের সদস্য ও এলাকার মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে বড়চওনা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফজলুল হক উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মো. ওসমান মিয়ার ছেলে। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত পরশু স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান ফজলু। আজ দুপুরে শ্বশুর বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার একপর্যায়ে বৈদ্যুতিক তারে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্বজন বাদল মিয়া বলেন, সৌদি থেকে দেড় মাসের ছুটিতে এসেছিলেন ফজলু। দেশে আসার সময় ফেরত যাওয়ার টিকেটও কেটে এসেছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, টিকেট থাকলেও সেই মানুষটা আর নাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খুব ভাল মানুষ ছিল ফজলু। আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রবাসে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর বিদেশ যাওয়া হলোনা তার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার মোঃ শামসুল আলম বলেন, হাসপাতলে আনার পূর্বেই প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি