‘হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট স্টে দেওয়ার জন্য বসে আছে’
ঢাকা: হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট স্টে দেওয়ার জন্য বসে আছে। সরকাররের পক্ষ থেকে কিছু করতে গেলেই আবাসন মালিকরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে স্টে অর্ডার নিয়ে আসেন বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
রোববার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত সংলাপে দেশের বির্ল্ডিং কোড অনুযায়ী আবাসান ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ না হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ভবন নির্মাণে নানা অনিয়ম থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামীতে যে সব ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া হবে তা অবশ্যই সকল বিষয় নিয়মনীতি মেনেই করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নকশা বাতিল করারও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, হাতির ঝিল করা হয়েছে একটি ওয়াটার বাডিকে সংরক্ষণ করে। এছাড়া বানানী গুলশান এলাকার লেকগুলো খনন করে রিজার্ভার করা হবে। ঢাকা শহরের আশপাশে কোনো নদী ও ওয়াটার রিজার্ভার ভরাট করা যাবে না। এই সরকারের সময়ে কোনো জলাধার ভরাট করে কোনো প্লট করা হয়নি।
তিনি বলেন, পূর্বাচলসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ইটিপি, এসটিপি ছাড়া কোনো নকশার অনুমোদন দেওয়া হবে না। এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আবাসনের ক্ষেত্রেও এ দু’টি ছাড়া প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
কৃষিজমিতে আবাসন প্রকল্প না করার জন্য কৃষিমন্ত্রীকে বলা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বৃত্তশালীরা বিভিন্ন জায়গায় কৃষিজমি কিনে ফেলছে। কৃষিমন্ত্রীকে কৃষিজমি ব্যবহার বন্ধে একটি বিল আনারও আহ্বান জানান তিনি।
গৃহায়ণ মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে আগামীতে কোনো প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা হবে না। সবার আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য অ্যাপার্টমেন্টের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রামে সমুদ্র, নদী ও পাহাড় এলাকায় তিনটি আবাসন সিটি করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র এলাকায় জমি অধিগ্রহণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম