চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক সরকারি আইনজীবী নিহত হয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলার ঘটনায় আহত আরো ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রামের আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহত ৬-৭ জন চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
সাইফুল ইসলাম আফিফের পরিচয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাইফুল ইসলাম শিক্ষানবিশ আইনজীবী ছিলেন।
তবে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পুলিশের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
তবে কারাগারে নিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তুললে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করতে থাকে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। এ সময় ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এলাকার বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে তারা। ঘটনার পর ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে।
সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২৬ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চমেকে এখন ছয়জন চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি