১৪ ঘণ্টা পর আমান উল্লাহ ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকার ইউনুস টাওয়ারের পাশে অবস্থিত আমান উল্লাহ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ১৪ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
রবিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দিলকুশার ইউনুস টাওয়ার সংলগ্ন মিয়া আমান উল্লাহ ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
আগুনের ধোঁয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক (এডি) রফিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার শাহজাদী সুইটি নিউজবাংলাদেশকে এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, “আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট কাজ করলেও পরবর্তীতে আরো ৭টি ইউনিট যোগ হয়ে মোট ১৩টি ইউনিট একযোগে কাজ করছে।”
৬৩ দিলকুশা আমানুল্লাহ ভবনের দ্বিতীয় তলার বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইনান্স কোম্পানি লিমিটেডের অফিসের কাগজপত্র থেকে আগুনের প্রাথমিক সুত্রপাত বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার শাহজাদী সুইটি।
এদিকে শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে হঠাৎ করে ধোঁয়া বের হতে দেখেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এ সময় তারা লেডার এনে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ছাদের ওপরে ফায়ার সার্ভিস কর্মী পাঠান।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেনটেন্যান্স) মেজর এটিএম শাকিল নেওয়াজ খান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘ডিফারেন্ট টাইপের অগ্নিকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর আগে আমাদের এমন ঘটনার মোকাবিলা করতে হয়নি।
অভ্যন্তরীণ ডেকোরেশনে ব্যবহৃত উচ্চ দাহ্যক্ষমতা সম্পন্ন পারটেক্স বোর্ড এবং থাই গ্লাসের কারণেই দিলকুশায় মিয়া আমান উল্লাহ ভবনে লাগা আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শাকিল নেওয়াজ খান আরো বলেন, ভবনটির আসবাবপত্র পুরু পারটেক্সের তৈরি। রয়েছে থাইগ্লাসের দেয়াল। আর এর নিচে স্টিলের পাত থাকায় ভেতরের উত্তাপ ২শত থেকে ৩শত ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এ অবস্থায় অভিযান পরিচালনা অত্যন্ত দুরুহ হয়ে পড়ে।
আগুন নেভানোর সময় অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘অফেন্সিভ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলেও এখানে ‘ডিফেন্সিভ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে প্রথমে পানি ছিটিয়ে ভেতরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনা হয় বলে জানান তিনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফই
নিউজবাংলাদেশ.কম