ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল বিক্রির অভিযোগ

পটুয়াখালীতে প্রান্তিক জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আলতাফ হাওলাদার একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ১৩ বস্তা চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রকাশ হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সুবিধাভোগী জেলে ও এলাকাবাসী।  খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের একটি দল ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লতিফা জান্নাতি বলেন, চালের বস্তার সঙ্গে স্টক মিলিয়ে ১৩ বস্তা চাল কম পেয়েছেন।  তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের ৪৫০ জন জেলের জন্য ৩৬ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত চাল বুধবার বিকেলে পটুয়াখালীর খাদ্য গুদাম থেকে ছাড় করে ট্রলারে নিয়ে ভুতুমিয়া লঞ্চঘাটে পৌঁছায়।  কিন্তু পথিমধ্যে ৩৫ বস্তা চাল সরিয়ে বাকি চাল নিয়ে লঞ্চঘাটে ট্রলার নোঙর করে রাখা হয়।  চাল আত্মসাতের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লঞ্চঘাট এলাকায় বিক্ষোভ চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মাহমুদ, ট্যাগ অফিসার সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার এবং সদর থানা পুলিশের এসআই দিপায়ন বড়ালসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।  পরে উদ্ভূত পরিস্থিতি শান্ত করে তাৎক্ষনিক তদন্ত চালিয়ে ১৩ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম দিন ট্রলারে জায়গা না থাকায় অতিরিক্ত ৩৫ বস্তা গোডাউনে রেখে আসছি। পরের দিন তা গোডাউন থেকে নিয়ে আসছি। তদন্তে ১৩ বস্তা চাল কম পাওয়ায় পর চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এমন কাজ যদি কেউ করে থাকে তাকে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।