ফেরি পারাপারে অতিরিক্ত টাকা আদায়:বিআইডব্লিউটিসি কর্মচারীর জরিমানা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ফেরিতে পারাপারের টিকিট কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছিলেন সেখানে কর্তব্যরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) এক কর্মচারী। সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই কর্মচারীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম। সাজা পাওয়া ওই কর্মচারীর নাম গোলাম মোস্তফা। তিনি কাউন্টারে বিআইডব্লিউটিসির টার্মিনাল তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি পারাপারের টিকিট কাউন্টার থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে কয়েক গাড়িচালক উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। সত্যতা পাওয়ায় গোলাম মোস্তফাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউএনও আজিজুল হক।
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মোল্লাও টিকিটের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার এক আওয়ামী লীগ নেতা ট্রাক পারাপারের জন্য টিকিট কিনতে যান। টিকিটের নির্ধারিত মূল্য ১ হাজার ৬০ টাকা। কিন্তু কাউন্টার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দাবি করা হয়। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া টিকিট দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, কাউন্টারে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরাও গাড়িচালক ও সহকারীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করেন। নির্ধারিত টিকিট মূল্যের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি নেওয়া হয়। ওই টাকা আনসার সদস্যসহ কাউন্টারে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিসির স্টাফরা ভাগাভাগি করে নেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তার জানা নেই। কাউন্টার থেকে বাড়তি টাকা চাওয়ার ব্যাপারে তাকে জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুল হক বলেন, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর থেকে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ অনিয়ম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস