পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন: বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় বিধানসভা নির্বাচন আর সাপ্তাহিক ছুটিতে দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য দু’দিন বন্ধ থাকছে। তবে এপথে পণ্যবাহী ট্রাক আসা যাওয়া বন্ধ থাকলেও শর্ত সাপেক্ষে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত সচল থাকছে।
বৃহস্পতিবার বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, “ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহাকুমা অঞ্চলে বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচন। এ উপলক্ষে পেট্রাপোল বন্দরের সাথে বেনাপোল বন্দরের সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের বন্দর ব্যবহাকারীরা জানিয়েছেন। এছাড়া ২৩ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসাবে এদিনও আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস হবে না। এতে বন্দরটি টানা দুইদিন বন্ধ থাকছে।”
পেট্রাপোল স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী মুঠোফোনে বলেন, “পেট্রাপোল বন্দর বনগাঁ থানার মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনের মধ্যে বাণিজ্যিক নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা এপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।”
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, “বৃহস্পতিবার এ পথে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস সচল থাকবে।”
আগামী ২৪ এপিল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আবারও এ পথে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে। বন্ধের মধ্যে বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবেও বলে জানান তিনি।
জানা যায়, প্রতিদিন এ পথে ভারত থেকে প্রায় পাঁচশ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এছাড়া বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয় ভারতে। বর্তমানে সরকারি আর সপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে ২৪ ঘণ্টা চলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, তুলা, মাছ, মোটরপার্টস, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখ্যযোগ্য।
রফতানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব্য। সরকার প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে ২০ থেকে ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ