News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ১৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২৩:২৮, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

ইভিএম মেশিনে ত্রুটি, ইসি-বুয়েট দ্বন্দ্ব

ইভিএম মেশিনে ত্রুটি, ইসি-বুয়েট দ্বন্দ্ব

ঢাকা: ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্রথম বুয়েট এবং গাজীপুরের রাষ্ট্রায়ত্ব মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় দেশে ইভিএম প্রযুক্তি চালু হয়। সে বছরই বুয়েটের সহায়তায় ইসি প্রথম ইভিএম চালু করে। তখন চীন থেকে আমদানি করা ব্যাটারি ব্যবহার করা হত। পরে ২০১২ সালে ইসি দেশীয় ব্যাটারি ব্যবহার শুরু করে। এ নিয়ে শুরু হয় ইসি-বুয়েট দ্বন্দ্ব ।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চুক্তি লঙ্ঘণ করেছে এমন অভিযোগ এনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ত্রুটি খুঁজে বের করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ইভিএমের অকেজো একটি কন্ট্রোল ইউনিটের ত্রুটি বের না করেই ইসিতে ফেরত পাঠায় বুয়েটের ব্যুরো অব রিচার্স, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন (বিআরটিসি)। গত বুধবার বিআরটিসি পরিচালক ইসির মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠায়।

চিঠিতে বলা হয়, “বুয়েটের পরামর্শ বা উপদেশ উপেক্ষা করে গত বছরের ১৫ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজস্ব বিবেচনায় ইভিএম’র পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য দেশীয়/লোকাল ব্যাটারি ব্যবহার করে নির্বাচন সম্পন্ন করে। যা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘণ।”

গত বছরের ১৫ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে একটি কন্ট্রোল ইউনিট সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। পরে মেশিনটির ত্রুটি খতিয়ে দেখতে বুয়েটের কাছে পাঠায় ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমন চিঠি দিয়েছে বুয়েট। একইসঙ্গে ইসি থেকে পাঠানো ইভিএমটি ইসিতেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।


বিআরটিসি পরিচালক জানান, “ইভিএম’র ডিজাইন ও মেধাস্বত্বের অধিকারী বুয়েট। কিন্তু এর পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য বুয়েটের পরামর্শ নেয়া হয়নি। ফলে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি কন্ট্রোল ইউনিট সঠিকভাবে কাজ না করার বিষয়টি চিহ্নিত করা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতা বহির্ভূত। এ বিষয়ে বুয়েটের কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”

জানা যায়, ইভিএম পরিচালনায় পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য ব্যবহৃত ব্যাটারির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। বিষয়টি বুয়েট ইসিকে বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে ও চিঠিতে নির্দেশনা জানায়। নির্দেশনায় উল্লেখ আছে, যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে স্থানীয় ব্যাটারি ব্যবহার করলে ইভিএমগুলোতে ‘আনপ্রেডিকটেবল ফল্ট’ দেখা দিতে পারে। ফলে নির্বাচনের ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে বুয়েট ইভিএমর সঠিক কার্যকারিতার বিষয়ে কোনো প্রকার দায়দায়িত্ব বহন করবে না। কিন্তু; বুয়েটের এমন চুক্তি না মেনে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে স্থানীয় ব্যাটারি দিয়ে ইভিএম পরিচালনা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে দেশীয় ব্যাটারি দিয়ে ইভিএম চালাতে গিয়ে রাজশাহীতে সমস্যায় পড়ে ইসি।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএ/এএইচকে
 

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়