লকডাউনে দায়িত্বে থাকা ৩ ট্রাফিক পুলিশকে মারধর
করোনা উর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশের মত জয়পুরহাটে শুরু হয়েছে ৮ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা তিন ট্রাফিক পুলিশকে মারধর করেছে লকডাউন অমান্যকারী একদল যুবক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে জয়পুরহাট শহরের বিআইডিসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, `এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
গ্রেফতারকৃতরা হলো-জয়পুরহাট পৌর শহরের বুলুপাড়া মহল্লার ফকির মন্ডলের ছেলে সানতু মন্ডল (৩৫), সাহেব পাড়া মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে চঞ্চল হোসেন(৩০), রুপনগর মহল্লার সোলায়মান আলীর ছেলে সাগর হোসেন (৩৫), গুলশান চৌমোড় মহল্লার শফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুর রহমান(৩০), সাহেব পাড়ার শহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সোহাগ ইসলাম (৩০) ও শুভ ইসলাম (৩২)।
এদের মধ্যে সানতু মন্ডল ও চঞ্চল হোসেন কাদামাটি গ্রুপের সদস্য এবং তারা হত্যা মামলার আসামি বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম ও প্রশাসন) মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, করোনা ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সদস্যরা। জেলা শহরের বিআইডিসি মোড়ে পুলিশের চেক পোস্টের সামনের রাস্তা দিয়ে আটককৃত সানতু মন্ডল মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, মুখে মাস্ক না থাকা এবং মাথায় হেলমেট না থাকায় চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ তাকে মোটরসাইকেলের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে বললেই সানতুসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক ৩ ট্রাফিক পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং মারধর করে। আহত ৩ ট্রাফিক পুলিশকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যপারে টি এস আই আবুল কাশেম বাদী হয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় জয়পুরহাট থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান।
অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস