সাত বছর পর দেশে ফিরেই লাশ হলেন যুবক
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সাত বছর পর দেশে ফিরেই হত্যার শিকার হয়েছেন মো. দাদন খলিফা (৩০) নামের এক যুবক। পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার গয়ঘর গ্রামের নুরুল হক খলিফার বাড়ির মসজিদের সামনে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ভোর ৪টায় আহত অবস্থায় ঢাকা নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। নিহত দাদন খলিফা উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গয়ঘর গ্রামের সেকেন্দার খলিফার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গয়ঘর গ্রামের ইদ্রিস খাঁর সঙ্গে দাদনের বাবা সেকেন্দার খলিফার দন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় গয়ঘর গ্রামের নুরুল হক খলিফার বাড়ির মসজিদে নামাজ পড়ে দাদন বের হন। এসময় সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ইদ্রিস খাঁ, এসকান্দার সরদারসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকেন।
এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দাদনকে স্থানীয়রা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা নেয়ার পথে পোস্তগোলা এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
দাদন খলিফার বাবা সেকেন্দার খলিফা বলেন, ইদ্রিস খাঁর নেতৃত্বে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া যায় কাজের জন্য। সাত বছর সেখানে থাকার পর গত ৩০ মার্চ দেশে ফেরত আসে। কয়েকদিন হলো বিয়ে করেছে। এসময়ই সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি