News Bangladesh

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ১০ এপ্রিল ২০২১

শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে মৃত্যুপথযাত্রী গৃহবধূ

শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে মৃত্যুপথযাত্রী গৃহবধূ

যৌতুকলোভী স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সোনালী খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধু। এখন তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোনালী মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তার ঘাড়ের শিরা-উপশিরা ছিড়ে গেছে। 

সোনালী খাতুন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার গোয়ালবাড়ি কাস্টসাগরা গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে ও সদরের পাগলাকানাই ইউনিয়নের বানিয়াকান্দর গ্রামের আব্দুল হালিমের স্ত্রী। 

ঝিনাইদহ সদর থানায় সোনালীর চাচা আনিচুর রহমানের দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আট বছর আগে দুই লাখ টাকার দেনমোহরে বানিয়াকান্দর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে আব্দুল হালিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হালিম নানা কারণে মারধর করতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলেই হালিম নির্যাতন করতেন। সঙ্গে শাশুড়ি ময়না বেগম ও দাদা শ্বশুর আনোয়ার হোসেনও যোগ দিতেন। পরিবারের সবাই সোনালীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় হতাশ হয়ে পড়ে সোনালী। তারপরও স্বামীর ঘৃণা ও ক্রোধের হাত থেকে রক্ষা পেতো না এক সন্তানের জননী সোনালী। স্বামীর উপর রাগ করে সোনালী একবার পিতার বাড়িতে চলে আসলে পাষণ্ড স্বামী রাতের আঁধারে এসিড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করেন। গ্রাম্য মাতব্বরদের মধ্যস্থতা ও ছয় বছরের একমাত্র ছেলে সায়মুনের দিকে তাকিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যায় সোনালী। গত ৬ এপ্রিল স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন জোটবদ্ধভাবে যৌতুকের জন্য সোনালীর ওপর নির্যাতন করতে থাকেন। সোনালীর কোল থেকে তার সন্তান সায়মুনকে কেড়ে নিয়ে নানা বাড়ি গোয়ালবাড়ি কাস্টসাগড়ায় পাঠিয়ে দেন। সোনালীও অপমান অপদস্থ হয়ে পিতার বাড়ি চলে আসেন এবং ঘটনার দিন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সোনালীকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোনালীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে গত বুধবার ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তার অবস্থা আশংকাজনক বলে তার পিতা গোলাম রসুল জানান।  

চাচা আনিচুর রহমান বলেন, “আমরা এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপের কথা জানতে পারিনি।”

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়