ভুল বোঝাবুঝি থেকে রণক্ষেত্র সালথা, পুলিশসহ আহত ৩০
লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে বাকবিতণ্ডা থেকে সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সালথা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় থানা, উপজেলা পরিষদ এবং এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বলেন, লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে কর্মকর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। এতে উভয় পক্ষ তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট, ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান জানান, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার ফুকরা বাজারে যায়। সেখানে পুলিশের ওপরে হামলা হলে এসআই মিজানুর রহমান মাথায় আঘাত পান। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা হিরামনি বলেন, সরকার নির্দেশিত আদেশে রুটিন ওয়ার্কে বিভিন্ন বাজারে গিয়েছিলাম। ফুকরা বাজারে সন্ধ্যার আগে যাওয়া হয়। বাজারে চায়ের দোকানে লোকজনের জটলা দেখে তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এ সময় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনার পরে বিক্ষোভকারীরা আমার অফিস, গাড়ি ও ইউএনও স্যারের অফিস ভবন ও তার গাড়ি পুড়িয়ে দেন।
নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমিউর রহমান বলেন, হামলাকারীরা কোনো সাধারণ জনতা ছিল না, এদের পেছনে দুষ্টচক্রের ইন্ধন ছিল। যে কারণে সরকারি গাড়ি, অফিস-আদালতে হামলা চালানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছে ৩০ জন। আহতদের নগরকান্দা ও ফরিদপুর মেডিকেলে ভতি করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি