মাংস খাওয়া কমাতে বললেন খোদ মাংস ব্যবসায়ীরা
ঢাকা: মাংস ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, “সীমান্তে বিএসএফ গরু ব্যবসায়ীদেরকে দেখলেই গুলি করে। গুলি বন্ধ না করলে ভারতের পরিবর্তে অন্য দেশ থেকে গরু আমদানি করতে হবে। অথবা মাংস খাওয়া কমাতে হবে। প্রয়োজনে কিছুদিন মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।”
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ আয়োজনে ‘জ্বালাও, পোড়াও, হরতাল-অবরোধে দেশে মাংসের দাম অস্বাভাবিক, চামড়া নিয়ে ছলচাতুরী’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা একথা বলেন। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু, কার্যকরী সভাপতি কাজী আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মো. মহসিন, হাজী আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সম্মেলনে বর্তমানে মাংসের দাম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, “ভারত থেকে গরু আমদানির সময় বিএসএফ গুলি করে। সীমান্তের কিছু কিছু জায়গায় গরু-মহিষ নিলাম করায় বেপারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে গাড়ি ভাড়াও দ্বিগুণ হয়েছে।”
মহাসচিব আরও বলেন, “১৯৭১ সালে ভারত আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। কিন্তু বিএসএফ সীমান্তে আমাদের গরু ব্যবসায়ীদের দেখলেই একদিকে গুলি করে হত্যা করছে, অন্যদিকে তারা লোক পাঠাচ্ছে আমাদের সাথে চুক্তি করার জন্য, কত গরু আনবো, কত টাকা দিব ইত্যাদি বিষয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য। সরকারের কাছে অনুরোধ করব, ভারত সরকারের থাকে আলোচনা করে বৈধ পথে গরু আনার ব্যবস্থা করুন।”
তিনি বলেন, “হরতাল অবরোধ ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে গরু পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে, পরিবহন খরচ বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে মাংসের দামে। ইদানিং ৪৫০ টাকা দরে মাংস কিনে আমাদের ৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। এখন যদি মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিই, তাহলে সরকার এবং দেশবাসী আমাদেরকে দোষারোপ করবে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিএ/কেজেএইচ
নিউজবাংলাদেশ.কম