News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ১৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৫:২২, ৩০ অক্টোবর ২০২০

আট টুকরা লাশ: মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা

আট টুকরা লাশ: মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা

ঢাকা: রাজধানীর ফকিরাপুলে পানির ট্যাঙ্কির পাশ থেকে ১০ মার্চ তরুণী সুমির আট টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঠিক এর পাঁচ দিন আগে তার স্বামী ইয়াবাসহ আটক হন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তার এক বছরের জেল ও অর্থদণ্ড দেন।

ওই সময় সুমি অভিযোগ করেছিলেন, স্থানীয় অন্য মাদক ব্যবসায়ীরাই নাসিরকে ধরিয়ে দিয়েছে। পরে এ নিয়ে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই সুমিকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

শনিবার ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান নিউজবাংলাদেশকে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ফকিরাপুলের যে বাড়ির ছাদে সুমির মাথার অংশসহ তার পরিহিত রক্তমাখা সালোয়ার কামিজ উদ্ধার হয়, সেই বাড়ির মালিক মোবারক উল্লাহ মন্টি ও তপু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক। ফকিরাপুলের ওই বাড়ির নম্বর ১৯৩/১। বাড়ির নাম রোকেয়া আহসান মঞ্জিল।

এদিকে নিহতের লাশ শনাক্ত করতে ঢাকা এসে সুমি আক্তারের ভাই মামুন জানান, সুমি ফকিরাপুলের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। দেড় বছর আগে তিনি নাসির নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। ওই বিয়েতে পরিবারের সম্মতি না থাকায় পরে পরিবারের সঙ্গে সুমির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

মামুন আরো দাবি করেন, তার ভগ্নিপতি নাসির দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। বারবার নিষেধ করার পরও তিনি মাদক ব্যবসা করায় সুমি ও তার নাসিরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের। সুমি আক্তারের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।

বোন খুন হয়েছে- এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই ঢাকায় ছুটে আসেন সুমি আক্তারের ভাই মামুন। কিন্তু বোনের খণ্ডিত লাশ গ্রামে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মামুন লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে দিয়ে দেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ফকিরাপুল পানির ট্যাঙ্কির পাশের চারতলা একটি ভবনের ছাদ ও আশপাশের এলাকায় সুমির দেহের আটটি টুকরা পাওয়া যায়। পরে শুক্রবার নিহতের ভাই মামুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনএইচ/এফএ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়