টাঙ্গাইলে নকল সিগারেট কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
শাকিল অটো রাইচমিলের আড়ালে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই অবৈধ ও নকল সিগারেট তৈরির কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ আজ ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সামিউল হক টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় মামলাটি দায়ের করে।
সোমবার ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. মইনুল খান জানান, গত বছরের ১১ মার্চ ঢাকা পশ্চিমের একটি বিশেষ দল র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সহযোগিতায় কালিহাতি থানার কামার্থি এলাকায় অভিযান চালায়। এতে শাকিল অটো রাইচমিলের ব্যানারে গড়ে উঠা গোপন সিগারেট কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ সিগারেট সামগ্রী জব্দ করা হয়। একইসাথে কারখানর মেশিনারিজ আটক করা হয়।
আটক পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৩৩০ কেজি সিগারেট তৈরির তামাক, ৪ লাখ ৫ হাজার ফিল্টার, এক প্যাকেট নকল গোল্ডলিফ ব্রান্ডের সিগারেট ও এক বান্ডিল সিগারেটের ডেলিভারি চালান। কারখানায় ব্যবহৃত ৮টি মেশিনও জব্দ করে জিম্মায় দেয়া হয়।
ওই ঘটনায় ডেপুটি কমিশনার মো. সাইদুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন অনুযায়ী কারখানার মালিক আসাদুজ্জামান, স্বত্বাধিকারী, এশিয়ান টোবাকো, কামার্থি, কালিহাতি, টাঙ্গাইলকে সংঘটিত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা পান। ভ্যাট আইন অনুসারে নিবন্ধন না নিয়ে এবং সরকারের ভ্যাট রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সিগারেট কারখানা পরিচালনা করায় প্রতিবেদনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
ওই কারখানাটি ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট নকল করে বাজারজাত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিগারেটের উপর উচ্চ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় এক শ্রেণির অসৎ ব্যক্তি দেশের আনাচে-কানাচে এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। ফলে এনবিআর শত শত কোটি টাকার ভ্যাট আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিক নিয়মিত ভ্যাট প্রদান করা দেশিয় কারখানাগুলো প্রতিযোগিতায় থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টাঙ্গাইলের ৩৫ কিলোমিটার দূরে লোকচক্ষুর অন্তরালে এবং শাকিল অটো রাইচমিলের ব্যানারে কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর গত বছরের ১১ এপ্রিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সহায়তায় ওই কারখানায় অভিযান করে অবৈধ সিগারেট সামগ্রী আটক ও কারখানাটি তালাবদ্ধ করা হয়। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি ভ্যাট আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চলমান থাকবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস