টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে বেলা তিনটার মধ্যে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমাপাড়া ও উখিয়ার মনতলি পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলেছে, এই চারজনই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।
নিহত চারজন হলেন বশির আহমদ, হামিদ হোসেন, মোহাম্মদ রফিক ও রইঙ্গা। এই চারজনই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্য। এর মধ্যে বশির ও হামিদ বাহিনী প্রধান আবদুল হাকিম ওরফে হাকিম ডাকাতের ভাই। অপর দুজন তাঁর সহযোগী
‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবদুল হাকিম তাঁর দলবল নিয়ে টেকনাফের চাকমারপাড়া এলাকায় অবস্থান করছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে প্রচুরসংখ্যক পুলিশ সদস্য এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই পাহাড়ে অভিযানে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থলে বশির আহমদ, হামিদ হোসেন, মোহাম্মদ রফিক ও রইঙ্গার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ২০টি গুলি ও ৪০ হাজারটি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে।
এর আগে গত বছরের ৮ আগস্ট পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আবদুল হাকিমের স্ত্রী রুবি আক্তার (২৫) ও ছোট ভাই কবির আহমদ (৪২) নিহত হয়েছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার নিহত চারজনের লাশ উখিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি